যে ৭ জায়গায় স্টার্কের চেয়ে এগিয়ে মুস্তাফিজ

ক্রীড়া বিভাগ: বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ও অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। দুই দলের বোলিং আক্রমণের প্রধান দুই অস্ত্র তারা। আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের নেতৃত্বে থাকবেন স্‌টার্ক। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পেস আক্রমণের মূল ভরসা মুস্তাফিজ। স্টার্কের চেয়ে বেশ কিছু দিক দিয়ে মুস্তাফিজকে এগিয়ে রেখেছে টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান।

গত দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি স্টার্ক। তবে টি-টোয়েন্টিতে তাকে এতোটা জ্বলে উঠতে দেখা যায়না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পরিসংখ্যানে যেসব জায়গায় স্টার্কের চেয়ে মুস্তাফিজ এগিয়ে সেগুলো আলোচনা করা হলো:

উইকেটসংখ্যা: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মিচেল স্টার্কের চেয়ে বেশি উইকেট রয়েছে বাংলাদেশের মুস্তাফিজের। ৩৯ ম্যাচে স্টার্কের শিকার ৪৮ উইকেট। অন্যদিকে, ৪৩ ম্যাচে ৬১ উইকেট মুস্তাফিজের।

ম্যাচপ্রতি উইকেট: ৪ ম্যাচ বেশি খেলেছেন বলে স্টার্কের চেয়ে উইকেট বেশি ফিজের- বিষয়টা এমন নয়। ম্যাচপ্রতি উইকেটেও স্টার্কের চেয়ে ফিজ এগিয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচপ্রতি ১.২৩ উইকেট নেন স্টার্ক। অন্যদিকে, ফিজের ম্যাচপ্রতি উইকেট ১.৪২।

পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কখনো পাঁচ উইকেট নিতে পারেননি স্টার্ক। অন্যদিকে, ফিজের রয়েছে ৫ উইকেট। সেটিও আবার বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে।

বোলিং স্ট্রাইকরেট: বোলিং অ্যাভারেজও এগিয়ে মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের অ্যাভারেজ ১৫.৫৬ আর স্টার্কের ১৮.৩৮। অর্থাৎ প্রতি ১৫.৫৬ বল পর পর এক উইকেট নেন ফিজ। অন্যদিকে, এক উইকেট শিকার করতে স্টার্কের লাগে ১৮.৩৮ বল।

বোলিং ফিগার: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের সেরা বোলিং ফিগার হলো ২২ রানে ৫ উইকেট। অন্যদিকে, স্টার্কের সেরা বোলিং ফিগার ১১ রানে ৩ উইকেট।

মেডেন: টি-টোয়েন্টিতে একটি ডট বল মানে এক টুকরো সোনা। আর একটি মেডেন ওভার তো আরো বিশেষ কিছু। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ মেডেন ওভার করেছেন মোট ৩ বার। অন্যদিকে, স্টার্ক মাত্র একবার মেডেন ওভার নিতে পেরেছেন।

সাম্প্রতিক ফর্ম: স্টার্কের চেয়ে সাম্প্রতিক ফর্মও ভালো মুস্তাফিজের। ক্যারিবীয় সফরে ৪টি ম্যাচে ১৬ ওভার বোলিং করে স্টার্ক নিয়েছেন মাত্র ১টি উইকেট। ওই ১৬ ওভারে তিনি দিয়েছে ১৪১ রান। অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ের মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেই ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ।

ইউকে/এএস