টাইগারদের তোপে ফের ধরাশায়ী অজিরা!

ক্রীড়া বিভাগ: ব্যাটে-বলে দারুণ বাংলাদেশের কাছে ফের ধরাশায়ী হলো অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৫ উইকেটে জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

বুধবার (০৪ আগস্ট) শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল।

১২২ রানের লক্ষ্যে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতো এদিনও ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে শূন্য করেন তিনি। পরের ওভারেই জস হ্যাজেলউডের বলে ৯ রান করা নাঈম শেখ বোল্ড হন।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে মেহেদী হাসানের সঙ্গে ৩৭ রান তোলেন সাকিব। তবে অ্যান্ড্রু টাইয়ের দারুণ এক বলে বোল্ড হন সাকিব। ১৭ বলে ২৬ রান করেন এই তারকা। আর অ্যাডাম জাম্পার বলে উইকেটরক্ষক ম্যাথিউ ওয়েডের স্টাম্পিংয়ে শিকার হওয়া মেহেদী ২৪ বলে ২৩ রান করেন।

মাঝে শূন্য রানে অ্যাশটন অ্যাগারের বলে আউট হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

তবে এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে দারুণ খেলে অপরাজিত দুই তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন। এই জুটিতে ৪৪ বলে ৫৬ রান আসে। আফিফ ৩১ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। আর নুরুল ২১ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।

টস হেরে এর আগে ফিল্ডিংয়ে নামে টাইগাররা। মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিং ও অন্য বোলারদের দারুণ সহায়তায় ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

এদিনও বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া সতর্ক শুরু করলেও পাওয়ার প্লেতে দলটি ২ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। ৬ ওভার শেষে ৩২ রান তুলতে পারে সফরকারী অজিরা।

দলীয় ১৩ রানে ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে নাসুম আহমেদের ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী হাসান। আর ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসা মোস্তাফিজুর রহমান অসাধারণভাবে বোল্ড করেন আরেক ওপেনার জস ফিলিপকে।

মাঝে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫২ বলে ৫৭ করে দলকে বিপর্যয় থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন মিচেল মার্শ ও মইসেস হেনরিকেস। তবে ২৫ বলে ৩০ রান করা হেনরিকেসকে সাকিব আল হাসান বোল্ড করলে ভাঙে জুটি। এরপর মার্শও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ৪৫ রান করেন। এবার ৪২ বল খেলে শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানকে ক্যাচ দেন।

এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলেই ব্যস্ত থাকে সফরকারীরা। দুর্দান্ত বল করা মোস্তাফিজ অজি অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড ও অ্যাশটন অ্যাগারকে পর পর দুই বলে বিদায় করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান।

বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিং করা মোস্তাফিজুর ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান। শরিফুল ২টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া মেহেদী ও সাকিব একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।

ইউকে/এএস