যা পাওয়া গেল পরীমনির বাসায়

বিনোদন বিভাগ: আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে র‌্যাব সদর দপ্তরে। জব্দ করা মাদকও একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরীমনিকে নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার তথ্য সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম। এরপর রাত সোয়া ৮টার দিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাহিনীর সদর দপ্তরে।

এর আগে বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ আলোচিত নায়িকার বাসায় অভিযান শুরু করেন র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। অভিযান চলিয়ে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। তার ড্রয়িং রুমের কাভার্ড, শো-কেস, ডাইনিং রুম, বেডরুমের সাইড টেবিল এবং টয়লেট থেকে বিপুল সংখ্যক মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তার কাছে দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ ছিল, যা বাংলাদেশে খুব কমই আমদানি হয় বলে জানান আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘পরীমণির বাসা থেকে বিদেশি মদের পাশাপাশি আইস ও এলএসডি উদ্ধার করা হয়েছে।’

এদিকে, অভিযান চলাকালে পরীমনির বাসার নিচে দেখা যায় র‍্যাব-১ এর একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। এ ছাড়া পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িও ছিল। বাসার আশপাশে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। মূল গেটের সামনে কয়েকজন র‍্যাব সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযান শুরুর ৩০ মিনিট পর তার বাসায় একে একে তিন থেকে চারজন র‍্যাবের নারী সদস্য প্রবেশ করেন। এরপর পরীমনিকে আটকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে বিকাল ৪টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন পরীমনি। তিনি জানান, তার বাসায় কে বা কারা প্রবেশের চেষ্টা করছে। পরীমনি জানান, তার বাসায় সিভিলে এসে কেউ দরজা খোলার জন্য বলছে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলেও তারা পরিচয় দিচ্ছেন না। একেকজনের একেক রকম পোশাক, চেহারা। ডাকাতের মতো মনে হচ্ছে। তিনি আতঙ্কিত।

ইউকে/এএস