ক্যাম্পেইনে করোনা টিকা পাবেন ৩২ লাখ মানুষ

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে অনুষ্ঠেয় দেশজুড়ে করোনা ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস অডিটেরিরামে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন নিয়ে আয়োজিত সংবাদসম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম এ কথা জানান।

ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানান, ভ্যাক্সিনের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যার পরিপেক্ষিতে সরকার আগামী ৭ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী কোভিড ১৯ ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী-পুরুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক জানান, কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনে দেশের ৪৬০০ টি ইউনিয়নে, ১০৫৪টি পৌরসভায়, সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে করোনা টিকা দেওয়া হবে।

আগামী ৭ আগস্ট দেশের সব ইউনিয়ন পৌরসভা সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হবে। ৮ ও ৯ আগস্ট ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডের ৭ আগস্ট নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চালু ছিল, সেসব ওয়ার্ডে এবং পৌরসভার বাদপড়া ওয়ার্ডে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চলবে। ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চালু থাকবে।

৮ এবং ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চালু থাকবে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে (৫৫ বছর বয়সী) আগামী ১০, ১১ ও ১২ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে।

ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় কতজনকে টিকা দেওয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা পাবেন ৩২ লাখ মানুষ। তারা যথাসময় টিকার দ্বিতীয় ডোজও পাবেন। দ্বিতীয় ডোজ রেখেই টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ইউকে/এএস