ছুটির দিনেও বেড়েছে মানুষের চলাচল

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: কঠোর বিধিনিষেধে ১৫তম দিনে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল এবং অলিগলিতে সাধারণ মানুষের ঘোরাফেরা বেড়েছে। ছুটির দিনেও ব্যক্তিগত গাড়ি, অফিসের গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যানে চলাচল করেছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শাহবাগের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে এসব সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দোকানও অর্ধেক সার্টার খোলা রেখে বেচাকেনা করতেও দেখা যায়।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কঠোর বিধিনিষেধের কড়াকড়ির মধ্যেও সড়কে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। চেকপোস্টগুলোতে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। তবুও বিভিন্ন অজুহাতে ঘর থেকে বের হয়েছে মানুষ। রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের চেকপোস্টগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবুও সড়কে মানুষ ছিল চোখে পড়ার মতো।

দুপুরে হাসান আলী নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলেন, গণপরিবহন না থাকায় কর্মস্থলে এবং জরুরি কাজে যাওয়ার পথে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের ভাড়া আকাশচুম্বী। জনপ্রতি ১০০ টাকা করে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। অথচ এই দূরত্বের বাস ভাড়া মাত্র ১৫ টাকা।

কারওয়ান বাজার এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব ভৌমিক বলেন, ছুটির দিনে অন্যান্য দিনের তুলনায় রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কিছুটা কম। তবে সাইকেলে করেও অনেক মানুষকে রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, আমরা সড়কে আছি, রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। রাস্তায় বের হওয়া বেশিরভাগ মানুষ যৌক্তিক কারণ দেখাচ্ছেন। আর যারা অকারণে রাস্তায় বের হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইউকে/এএস