বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: এখনও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌপথ। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে দেশের দক্ষিণবঙ্গকে রেলের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
যার অংশ হিসেবে ঢাকার সঙ্গে রেলে সংযুক্ত হবে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল-পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২৪৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সাল থেকে কাজ শুরু হবে বিশাল এ প্রকল্পের। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের। প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
ইতোমধ্যেই প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। সে সঙ্গে প্রকল্পের নকশা শেষ হয়েছে এবং টেন্ডার ডকুমেন্টের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালী পর্যন্ত ২৪৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
এ প্রকল্পের অধীনে ভাঙ্গায় একটি জংশন নির্মাণ করা হবে। এর পাশাপাশি টেকেরহাট, মাদারীপুর, বরিশালের গৌরনদী, দেহেরগতি, বরিশাল সদরের কাশিপুর, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী, আমতলী, পায়রা পোর্ট, পায়রা এয়ারপোর্ট ও কুয়াকাটায় মোট ১১টি স্টেশন হবে। তবে এর বাইরে সাব-স্টেশনও থাকবে। সব মিলিয়ে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরে রেলওয়ে অর্থনৈতিক জোন, বরিশালে রেলওয়ে মাল্টিমোডাল হাবসহ ১৯টি বড় স্টেশন নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়।
১৭ কিলোমিটার নিচু জমিতে হবে উড়াল রেললাইন। এর পাশাপাশি কীর্তনখোলা, পায়রার মতো বড় নদীগুলোতে নির্মাণ করা হবে ৪৬টি বড় রেলসেতু। নির্মাণ করা গহবে ৪৪০টি বক্স কালভার্ট। এ কালভার্টের ভেতরে কোনো লেভেল ক্রসিং ছাড়া ট্রেন চলাচল করবে।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শুরুর লক্ষ্য ধরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ৪৪ হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয়ের এ প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী দেশ অর্থায়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, রেললাইনটি হলে ওই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিপুল পরিবর্তন আসবে। উন্নত সমৃদ্ধ যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি সেটি বাস্তবায়নে অনেকখানি এগিয়ে যাবো।
ইউকে/এএস