বাস ছাড়া চলছে সবই

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউনের ১৮তম দিন চলছে। শুধুমাত্র গণপরিবহন ছাড়া রাস্তায় চলছে সব ধরনের যানবাহন। এ দিন চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। কারণ ছাড়াই অপ্রয়োজনে মাস্ক পরে ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন সব বয়সী নারী-পুরুষ।

সোমবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর এলকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে আরো দেখা যায়, এলাকার পাড়া-মহল্লার গলিতে সব ধরনের দোকানপাট খোলা। মহল্লার দোকানগুলো চলছে আড্ডা। মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব।

অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মো. ঈসা। ঘর থেকে বের হয়েছেন হেডফোন কিনতে। তিনি বলেন, স্কুলও বন্ধ, পড়ালেখা ছাড়া করার মতো আমার তেমন কিছুই নেই। বাসায় বসে বসে সময় কাটাতে পারছি না। তাই মোবাইলে গান শুনবো বলে হেডফোন কিনতে বের হয়েছি। হেড ফোন কেনা শেষ, এখন বাসায় চলে যাচ্ছি।

সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. রহিম। মিরপুর ১৪ নাম্বার থেকে যাচ্ছিলেন সিএনজির কাজ করাতে। ১০ নম্বর গোল চত্বর চেকপোস্টে তার গতিরোধ করে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। রহিম বলেন, অনেক দিন আমার গাড়িটা বসা ছিল। দু’দিন পরে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। তাই সিএনজির কাজ করাতে বের হয়েছি। ট্রাফিক সার্জেন্ট এক হাজার টাকার মামলা দিয়েছেন।

দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের শেষ দিকে এসে খুলেছে গার্মেন্টস ও ব্যাংক। ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সব মিলিয়ে রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ডাক্তার দেখাতে বা হাসপাতলে যাবে বলে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছেন।

তিনি আরো বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০ নম্বর গোল চত্বরে মামলা হয়েছে ৪ টি। জরিমানা করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা।

এর আগে, করোনা সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদের কারণে আট দিন বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন দেওয়া হয়। পরে তা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট আবার কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার।

ইউকে/এএস