বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: সরকার ঘোষিত গণটিকা কার্যক্রমের তৃতীয় দিনে রাজধানীতে ২৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সোমবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর রাড্ডা এমসিএইচ-এফপি সেন্টারের সামনে অসংখ্য মানুষকে টিকার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে সেন্টারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. নাসরিন আক্তার বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় দিন বয়স্ক, মুক্তিযোদ্ধা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আজ যারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী একটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন সাড়ে তিনশ’ টিকা দেওয়ার কথা। এখানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তিন নম্বর ওয়ার্ডের টিকাদান কর্মসূচি চলছে।
তিনি বলেন, রাড্ডা সেন্টারটি পরিচিত হওয়ায় তাদের প্রতিদিন ৭০০ টিকা দিতে হচ্ছে। এরপরও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মানুষের ভিড়। ডা. নাসরিন আক্তার আরও বলেন, আমাদের সেন্টারের সামনে ভোর চারটা থেকে টিকার জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে যখন অফিসে ঢুকলাম, তখন দেখি পুরুষদের একটি লাইন ১০ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত চলে গেছে। নারীদের লাইন চলে গেছে ফকির বাড়ি বাজার ছাড়িয়ে মসজিদ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন ভিড় কম ছিল। দ্বিতীয় দিন আর তৃতীয় দিন মানুষের চাপ বেশি। তারপরেও অনেক মানুষ যখন টিকা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় খুব খারাপ লাগে। ওই স্থানে দায়িত্বরত কনস্টেবল নাঈমুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভোর থেকে প্রায় দুই-আড়াইহাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। রোববার সকালে একটু বিশৃঙ্খলা দেখা গেলেও আজ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে শনিবার সকাল ৯টা থেকে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।
কর্মসূচির আওতায় দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন কর্মী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
ইউকে/এএস