বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোয় করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে সহায়তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩৪০ টন জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, নমুনা পরীক্ষার কিট, হাসপাতাল বেড, তাঁবু ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীসহ অন্যান্য জরুরি ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী।
বিভিন্ন দেশে এসব সামগ্রীর মাধ্যমে করোনা চিকিৎসায় জটিল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং। রোববার (২৩ মে) নয়াদিল্লীর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণের একটি বিপুল অংশ ভারতের জনগণ হয়েছে। এ কারণে ভারতের ২৬টি রাজ্য, ইউনিয়ন ও অঞ্চলে বর্তমান সমস্যা নিরসন ও দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থাপনার জন্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতির চালান দ্রুততম সময়ে পৌঁছাবে। ইতিমধ্যে ৪ হাজার অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ১২০টি তাঁবু, ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের জন্য ৪০০ মেডিকেল বেড, ১২ লাখ মাস্ক ও সাড়ে ছয় লাখ ডিসপোজেবল কীটের চালান দিল্লির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
অতি সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে ৬০ মেট্রিক টন ডায়রিয়া রোগের কিটস ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পাঠিয়েছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চলমান জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা প্রচেষ্টার আওতায় জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান ড. পুণম ক্ষেত্রপাল সিং।
যৌথভাবে চাহিদা নিরূপণ সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহে নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলংকায় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে।
ড. পুণম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, মহামারি মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সহায়তা ও করোনা মোকাবিলায় বদ্ধ পরিকর। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির মোকাবিলায় অংশীজন ও ডোনারদের সহায়তায় ইতিমধ্যেই ১৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ইউকে/এসএম