বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি নেই। এরমধ্যেই আজ বুধবার থেকে বিধিনিষেধ (লকডাউন) শিথিল হয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা, দোকান-শপিংমলসহ প্রায় সবকিছু খুলছে। মহামারি থাকলেও মানুষের জীবিকা রক্ষা ও অর্থনীতির কর্মকাণ্ড সচল রাখার তাগিদে আপাতত লকডাউন থেকে সরে এসেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে মাস্ক পরাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে চাইছে সরকার।
তবে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ করোনা মোকাবিলায় সরকারের এই কৌশলের সঙ্গে একমত নন। আবার কেউ কেউ বলছেন, আমাদের মতো দেশে বেশিদিন লকডাউন রাখা সম্ভব নয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ক্ষেত্রে সফল হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।
১১ আগস্ট থেকে যা মানতে হবে-
১. সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে।
২. সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
৪. শপিংমল, মার্কেট, দোকান-পাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।
৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।
৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউকে/এএস