ঈদের ছুটিতে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ: মন্ত্রী

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ঈদের ছুটি এবং করোনা সংক্রমণের বিধি-নিষিধের মধ্যে মানুষের স্থানান্তরের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এক প্রশ্নে তিনি একথা জানান।

ডেঙ্গু আক্রান্তের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সফল বলেও এসময় উল্লেখ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রায় ৪০ হাজারের মতো ছিল। এবার জুলাই মাসে ১৫-২০ হাজার হয়েছে। এই মুহূর্তে ভিয়েতনামে ৩৭ হাজার, ফিলিপাইনে ৩১ হাজার, মালয়েশিয়াতে তারা সাকসেসফুল বললেও ১৫ হাজার, সিঙ্গাপুরে তিন হাজার ৫০০ রোগী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশে এক হাজার ৪০৫ জন আক্রান্ত ছিল। তবে আমার কাছে যে তথ্যউপাত্ত তা এক হাজার ১৭৪ জন। গত বছর সিঙ্গাপুরে ৩৪ হাজার, ফিলিপাইনে দুই লাখ ২৫ হাজার, মালয়েশিয়াতে ৪৫ হাজার। ভারতে সাত হাজার, ফ্রান্সে ২৮ হাজার আক্রান্ত হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে প্রাণান্তকর চেষ্টা করছি। আপনি যদি ওয়ার্ল্ড কনটেস্টে ইভ্যুলুয়েট করেন (মূল্যায়ন) তাহলে বাংলাদেশ সাকসেসফুল কান্ট্রি। আমরা কাজ করছি, আমাদের মেয়ররা কাজ করছেন। কাউন্সিলররা কাজ করছেন।

‘কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে আপনার কাউন্সিলররা কাজ করে কিনা, আমি বলেছি যে কাউন্সিলররা কাজ করে। ’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে মিটিং করেছি। সবার সঙ্গে কথা বলার পরে তারা উৎসাহিত হয়েছে, আমি তথ্য নিয়েছি তারা সবাই মাঠে আছে।

এবছর ডেঙ্গু এতো বাড়লো কেন- প্রশ্নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড কনটেস্টে আমাদের এখানে বাড়েনি। কিন্তু গতবছরের তুলনায় এবছর অনেক বেড়ে গেছে। ২০১৯ সালে এক লাখ ৪৯ হাজার। এবছর চার হাজার অতিক্রম করেছে। আপনি কি সারা পৃথিবীর অবস্থা দেখবেন না?

এডিস মশা নিধনে সকল জনগণকে অংশগ্রহণ করা দরকার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা জানুয়ারি থেকে টিভিসি চালিয়েছি। প্রায় ১০-১৫ কোটি টাকা খরচ করেছি, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। অনেক টেলিভিশনে রাত হলেও কষ্ট করে যোগদান করে কথা বলেছি।

তিনি বলেন, দু-একটা মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করেছে। একজন সাংবাদিকের সন্তান মারা গেছে। এটা আমাকেও ব্যথিত করে।

মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে এক থেকে চারশ’ মিলিয়ন লোক প্রতিবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকায় অনেক বেশি। আমাদের জন্য এবং গোটা পৃথিবীর জন্য চ্যালেঞ্জ।

‘একটু সমস্যা হচ্ছে আমার মনে হয়। ঈদের বন্ধ এবং লকডাউন, অনেকে জায়গা রিপ্লেস হয়েছে। দুই কোটি মানুষ। এখানে বন্ধ হওয়ায় সমস্যাটা হয়েছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি। ’

মন্ত্রী বলেন, ফুলের টবে যদি পানি রাখেন তাহলে সেখানে সামান্য কেরসিন দিয়ে দেন। ছাদে ১০ হাজার বর্গফুটের মধ্যে ২৫০ গ্রাম কেরসিন ঢেলে দেন তাহলে লার্ভা মরে যায়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছি।

ইউকে/এএস