বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: জাতীয় চিড়িয়াখানায় হরিণ-নীল ময়ূর কিনতে ২০টি আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে ১২টি হরিণ ও ৮টি নীল ময়ূর রয়েছে। এছাড়াও এসব প্রাণী কিনতে অনেকে নানাভাবে যোগযোগ করছেন। বন্য প্রাণী লালন-পালনে বন বিভাগের অনুমোদন ও নির্ধারিত অর্থ পেলে প্রাণী হস্তান্তর করবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে গত পাঁচ মাস চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিক বন্য পরিবেশে বেড়ে উঠেছে সকল প্রাণী। এতে চিড়িয়াখানার প্রাণিকূলের প্রজনন ক্ষমতাও বেড়েছে। ফলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণী বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রথমে হরিণ ও নীল ময়ূর বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, হরিণ ও নীল ময়ূর বিক্রির জন্য এ পর্যন্ত লিখিতভাবে ২০টি আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। তার মধ্যে ১২টি হরিণ ও ৮টি ময়ূর কিনতে আবেদন করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্রেতা বাসাবাড়িতে এসব প্রাণী লালন-পালন করার জন্য কিনতে চাচ্ছেন। এছাড়াও অনেকে ফোনে যোগাযোগ করে কেনার প্রক্রিয়া জানতে চাচ্ছেন। প্রাণী কিনতে বন বিভাগের অনুমোদনসহ নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করলে প্রাণী হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে চিড়িয়াখানায় বিক্রি যোগ্য ১৫০টি হরিণ রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩টি নতুন হরিণ প্রজনন হচ্ছে। তবে বর্তমানে ময়ূরের ডিম দেয়ার সময় হয়েছে। এরা ডিম দিলে তা থেকে নতুন বাচ্চা ফোটানো হবে।
এ কারণে জুলাই মাসের আগে ময়ূর বিক্রি করা হবে না বলেও জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার পরিচালক।
ইউকে/এসএম