বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস)।
সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি ও সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান তালুকদার বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন।
নেতারা বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বইয়ের জগৎ ছেড়ে ফেসবুক বা পাবজি গেমে কিংবা নেশার জগতে আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছে। বর্তমানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট আদান-প্রদান চলছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট ভালোভাবে বুঝতে পারছে না বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে মতবিনিময় বা সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিনের জন্য হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট বুঝতে সুবিধা হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা। এরপরে পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি বুঝে অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস চালু করা যেতে পারে।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অভিভাবক, ছাত্র ও শিক্ষক সবাই উদ্বিগ্ন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অভিভাবকদের স্টেশনারি, লাইব্রেরিসহ অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অভিভাবকরা চরম অর্থ সংকটে আছেন। ফলে অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাসিক টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারছেন না। এতে শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানের বেতনের অংশ না পেয়ে চরম অর্থ সংকটে দিন যাপন করছেন।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজর আলী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মো. মনসুর ইকবাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহসিন আলী, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তফা কালাম খান ও তানিয়া আখতার, সহকারী সহাসচিব ঝর্না বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তারসহ প্রমুখ সই করেন।
ইউকে/এএস