ইন্টারনেটে আইএসপি-এনটিটিএন-আইআইজিসমূহেরও একই ট্যারিফ

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ: আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) এবং বেসরকারি ন্যাশন ওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) সমূহের ট্যারিফ চালু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উল্লিখিত ট্যারিফের উদ্ধোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

চালুকৃত নতুন ট্যারিফের আওতায় এনটিটিএন অপারেটরদের সকল সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬টি প্রোডাক্টের প্রতি এমবিপিএস ডাটার ট্রান্সমিশনের জন্য ১৩ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, জেলা থেকে জেলায় ১৫টি প্রোডাক্টের জন্য ১৩ টাকা থেকে ৩০০ টাকা এবং দূরবর্তী অঞ্চলের ১৫টি প্রোডাক্টের জন্য ২৫ থেকে ৫০০ টাকা ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানাসহ (গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখা শর্তে) কোয়ালিটি অব সার্ভিস এবং কোয়ালিটি অব এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদন্ড নির্ধারণে ৫টি গ্রেড (এ,বি,সি,ডি,ই) চালুকরাহয়েছে।

বিটিআরসি’র লাইসেন্সধারী সকল বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ টি প্রোডাক্টের জন্য সারাদেশে ট্রান্সমিশন ব্যয়সহ ৩৩০ টাকা থেকে ৩৯৯ ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানাসহ (গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখা শর্তে)কোয়ালিটি অব সার্ভিস এবং কোয়ালিটি অব এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে ৩টিগ্রেড (এ,বি,সি )চালু করা হয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে আইএসপি সেবার ক্ষেত্রে গত ৬ জুন তারিখে প্রান্তিক পর্যায়ের জন্য চালুকৃত ট্যারিফ প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানাসহ(গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখা শর্তে)কোয়ালিটি অব সার্ভিস এবং কোয়ালিটি অব এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে ৩টিগ্রেড (এ,বি,সি)চালু করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য‘এক দেশ এক রেট’ চালু করা হয়েছে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা পৌঁছাতে আইএসপির পাশাপাশি আইআইজি এবং এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাই তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই ট্যারিফ নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে জানিয়ে মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রেও শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিটিআরসির প্রতি আহবান জানান তিনি।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র। বিটিআরসি’র সিস্টেমস এন্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ আইএসপি, আইআইজি ও এনটিটিএন ট্যারিফের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপনের পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়া সর্ম্পকে তথ্যবহুল উপস্থাপনা প্রদান করেন।

বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ আল ইসলাম, ইন্টারনে টসার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল হাকিম বক্তব্য দেন।

আমিনুল হাকিম বলেন, আগামীতে প্রতিটি জেলায় পয়েন্ট অব প্রেজেন্স(পপ) স্থাপন হলে গ্রাহক মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাবে। তাছাড়া তিনি আগামী ২৬ মার্চ থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ৫ এমবিপিএসের খরচে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর ঘোষণা দেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, বিটিআরসি’রচেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশনস বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মুহিউদ্দিন আহমেদ, লীগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হুসেইন, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার এ.কে.এম শহীদুজ্জামান, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসাইন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবির, লীগ্যাল এন্ড লাইসেন্স বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের মহাপরিচালক প্রকৈাশলী মো. মেসবাহুজ্জামানসহ পিজিসিবি, বাংলাদেশ রেলওয়ে, এনটিটিএন ও আইআইজিএবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউকে/এএস