পরীমনির জামিন মেলেনি, কারাগারে প্রেরণ

বিনোদন বিভাগ: রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলায় রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এদিন দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। এ সময় আসামিপক্ষে তাঁদের আইনজীবী মুজিবর রহমান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করা হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে। তাঁর ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তাঁর বাসা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮টা ৪৫ মিনিটে গাড়ি কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছে। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পরীমনি, রাজ ও তাঁদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে বনানী থানায় রওনা দেয় র‌্যাবের একটি দল।

এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করে৷ রাত ৮টা ২৪ মিনিটে পরীমনি ও তাঁর সহযোগীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানার মামলায় তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষে তাঁদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

ইউকে/এএস