বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৯৮৮ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮৮৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ১২ হাজার ২১৮ জন। মৃত ১৭৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৯ জন ও ৬৯ জন নারী।
শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৮০৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৮১ হাজার ৩২৭ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫২৩টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩২ হাজার ৮১০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫২০টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ ৭৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৪ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, বরিশাল বিভাগে সাত জন, সিলেট বিভাগে ১১ জন, রংপুর বিভাগে ছয় জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৩৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন এবং বাড়িতে চার জন মারা যান।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের এক জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চার জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৫৬২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৯৯৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৫৯ হাজার ১৬৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮১ হাজার ৮৭০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
ইউকে/এএস