তালেবানের প্রতি গুতেরেসের আহ্বান

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: আফগানদের জীবন রক্ষার জন্য তালেবানদের ‘অত্যন্ত সংযমী’ হতে ও তাদের কাছে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তালেবানরা কাবুল দখল করার পর আফগানিস্তানের নারীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ‘বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন’ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

এছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে নতুন আফগান সরকার গঠনের জন্য আলোচনার আহ্বান জানানো হয়। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।

আল জাজিরা জানায়, ১৫ সদস্যের কাউন্সিল সোমবার (১৬ আগস্ট) একটি বিবৃতি দিয়েছেন। ওই সদস্যরা জানিয়েছেন, জঙ্গিবাদের যেকোনো কৌশল তারা প্রতিহত করবে এবং মানবাধিকার যাতে বজায় থাকে, সেদিকেও তারা খেয়াল রাখবেন।

ওই বৈঠকে গুতেরেস বলেন, আমরা আফগানিস্তানের জনগণের পাশে থাকব।

তিনি অবিলম্বে এ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন যেন সব আফগানের অধিকারকে সম্মান করা হয়। একইসঙ্গে আফগানিস্তানকে সব আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলার জন্য বলছি।

বৈঠকে সব ধরনের শত্রুতা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।

গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দেশটিকে আবার সন্ত্রাসীদের আস্তানা বা মঞ্চ হতে দেওয়া যাবে না।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, আফগান নারীদের কষ্টার্জিত অধিকারগুলো রক্ষা করা অপরিহার্য। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের দিকে তাকিয়ে আছে। যে সম্প্রদায় তাদের আশ্বাস দিয়েছিল সুযোগ সম্প্রসারিত হবে, শিক্ষা নিশ্চিত হবে, স্বাধীনতার দ্বার উন্মোচিত হবে, এবং অধিকার সুরক্ষিত হবে।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। সে সময় নারীরা কাজ করতে পারত না, মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হত না এবং নারীদের তাদের মুখ ঢেকে রাখতে হতো এবং যদি তারা তাদের বাড়ির বাইরে যেতে চায় তবে তাদের একজন পুরুষ আত্মীয়ের সঙ্গে থাকতে হতো।

বেসামরিক বা বেসামরিক বস্তুর বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড কাউন্সিলকে বলেন, সব আফগান নাগরিক, বিশেষ করে নারী এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান করতে হবে।

ইউকে/এএস