ক্রেতাদের কাছে ইভ্যালির দেনা ৫৪৩ কোটি টাকা

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ক্রেতাদের কাছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নেওয়া অগ্রিম, সরবরাহকারীদের কাছে দেনা ও ব্যবসায়িক দেনাসহ ইভ্যালির মোট চলতি দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ইভ্যালির পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান।

১৯ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির সম্পদ ও দায় বিবরণীসংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক জবাব চেয়ে মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান জানান, ইভ্যালি বুধবার (১৮ আগস্ট) তাদের কোম্পানির দায়-দেনার হিসাবের একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। আমরা এখন সেটি পর্যালোচনা করবো। তাদের কাছে চাওয়া সব তথ্য পাওয়ার পর সরকার গঠিত এ সংক্রান্ত কমিটি পরবর্তী বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, মার্চেন্টদের কাছে দেনার তথ্য দিতে ইভ্যালিকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিলে। এর মধ্যে তারা প্রথম ধাপের ব্যালেন্স শিট জমা দিয়েছে। সেখানে তাদের দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আরো বাকি দুই ধাপে তাদের তথ্য পেলে আমরা আবার বসব। তারা তাদের সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছে ১০৫ কোটি টাকা, কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখিয়েছে ৪২২ কোটি টাকা, সেভাবেই তারা তাদের ব্যালেন্স শিট মিলিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ রাসেল স্বাক্ষরিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া কোম্পানির ব্যালেন্স শিটে ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার দেনার বিপরীতে ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, অদৃশ্য সম্পদ দেখানো হয় ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। দৃশ্যমান সম্পদের হিসাব দেখানো হয়েছে ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা।

এদিকে গত ১১ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম বৈঠক কাস্টমারের দেনা- পাওনাসহ সার্বিক তথ্য দিতে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। তখন সভা শেষে ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান বলেছিলেন, ইভ্যালিকে চিঠি দিয়েছিলাম ১৯ জুলাই।

তারপর তারা ৩১ তারিখ জবাব দিয়ে চিঠি দিয়েছে, এতে সেখানে ১২ দিন সময় চলে গেছে। এখন এ মাসের আরও ১১ দিন গেছে। আজ আমরা বৈঠকে সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ফেইজে। এর মধ্যে ক্রেতাদের কাছে ইভ্যালির দায় কত, তা জানাতে হবে সাতদিনের মধ্যে; মার্চেন্টদের কাছে দায় কত, তা জানাতে হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে; আর সম্পদ ও দায় কত আছে, তা জানাতে হবে তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে।

ইউকে/এএস