হাসান আজিজুল হক হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. জামাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হাসান আজিজুল হক কিছুক্ষণ আগেই আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছেন। তার শারীরিক সমস্যার কথা এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

এর আগে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হন হাসান আজিজুল হক। গত বুধবার (১৮ আগস্ট) হাসান আজিজুল হকের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান এ তথ্য জানান।

তিনি সেই সময় বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মতে বাবাকে স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাসাতেই তার ইসিজি করানো হয়েছে। দীর্ঘদিন বাবার বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও হার্টে সমস্যা ও ডায়াবেটিস রয়েছে। বর্তমানে বেশি ভুগছেন হাইপোন্যাট্রিমিয়ায়। চিকিৎসক বলছেন তার শরীরে লবণের ঘাটতি আছে। তাই তিনি শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল আছেন।

জানা যায়, হাসান আজিজুল হক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে অধ্যাপনা করেন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন তার মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ।

১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ও ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। সার্বজৈবনিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালে তাকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধি দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে তার প্রকাশিত উপন্যাস ‘আগুনপাখি’, ২০১৩ সালে ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’ এবং ২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘শামুক’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। আর ছোটগল্প ও কথাসাহিত্যের অন্যান্য ক্ষেত্রেও তার অবাধ বিচরণ রয়েছে।

ইউকে/এএস