চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো অপরাধ যখন ঘটে তখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
‘তখন অপরাধ যারা করেছিল তাদের পরিকল্পিতভাবেই চিহ্নিত করা, গ্রেফতার ও আইনের হাতে সোপর্দ করার জরুরি কর্তব্যটি সম্পাদনে তৎকালীন সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বরং এই জঘন্য ঘটনা ধামাচাপা ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অপরাধীরা যাতে নিরাপদে থাকতে পারে কৌশলে সেই চেষ্টাও করা হয়েছিল। এর দায় অবশ্যই খালেদা জিয়াকে বহন করতে হবে’।
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকীতে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নানান নাটকীয়তা শেষে ছয়বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে চাঞ্চল্যকর গ্রেনেড হামলার বিচারকাজ শেষ হয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে এই মামলার বিচার ব্যাহত হতো এবং এটাই সত্য। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ক্ষেত্রে যেমন সেটা সত্য, গ্রেনেড হামলার ব্যাপারেও তাই। গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিস চৌধুরী, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু সহ ৫২ জনের মধ্যে ঘোষিত রায়ে লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এই রায়ে বিএনপির মির্জা ফখরুল খুশি হবার কথা নয়। কিন্তু সমগ্র জাতি সন্তুষ্টও নয়। কারণ গ্রেনেড হামলার প্ল্যানার ও মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হয়নি। তাই রাষ্ট্রপক্ষের উচিত, উচ্চ আদালতে রায় পুনঃবিবেচনার আবেদন করে মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা ফাঁসির রায় নিশ্চিত করা। এটা না হলে জাতি পাপমুক্ত হবে না।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, হাজী মো. হোসেন, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, বখতেয়ার উদ্দিন খান, হাজী বেলাল আহমেদ, ফিরোজ আহমেদ, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, আবদুল মান্নান, আসিফ খান।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী জহুর আহমেদ, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, হাজী শহিদুল আলম, এম এ জাফর, বিজয় কিষাণ চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, হাজী ছিদ্দিক আলম, মোমিনুল হক, হাজী মো. ইলিয়াছ, আনসারুল হক, রেজাউল করিম কায়সার, নূর মোহাম্মদ নুরু, অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আবুল কাশেম, মো. গিয়াস উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, ফয়েজ উল্লাহ বাহাদুর, নিজাম উদ্দিন নিজু, মো. আলী নেওয়াজ, দিদারুল আলম মাসুম, মো. জানে আলম, মো. জামাল উদ্দিন, আবদুস শুক্কুর ফারুকী, মো. এরশাদ উল্লাহ, আকবর আলী আকাশ, ইফতেখার আলম জাহেদ প্রমুখ।
সভার শুরুতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানসহ সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে সকালে টিআইসিতে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনাকরেন দারুল ফজল মার্কেট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা ফজল আহমদ।
ইউকে/এএস