পঞ্চশিরের পতন অবশ্যম্ভাবী?

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দীর্ঘদিন ধরে তালেবানের আওতামুক্ত ছিল পঞ্চশির। তবে এবার বোধহয় আর শেষ রক্ষা হলো না। এ উপত্যকাটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে তালেবান। বিদেশি শক্তির সহায়তা না পেলে কোনোভাবেই এবার তালেবানদের দমিয়ে রাখা যাবে না।

এদিকে কোনো প্রকার যুদ্ধ আর হানাহানি ছাড়াই পঞ্চশির এলাকা তালেবানদের হাতে তুলে দিতে চায় প্রখ্যাত আফগান যুদ্ধবাজ আহমদ শাহ মাসুদের পুত্র আহমদ মাসুদ। আর এর মধ্য দিয়ে পুরো আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে তালেবানরা।

যুদ্ধ করার মতো সম্পদ এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন না থাকায় আহমদ মাসুদ তালেবানের সঙ্গে ‘নিষ্পত্তিতে’ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের উদ্ধৃতি দিয়ে বেশ কয়েকটি পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে।

এক দশক আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল, তখনো পঞ্চশির তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। এছাড়া ১৯৯০ দশকে ক্ষমতায় থাকাকালীন পঞ্চশির এলাকার ওপর কর্তৃত্ব স্থাপনে সক্ষম হতে পারেনি তালেবানরা।

এদিকে কিছুদিন আগেই মাসুদ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি তালেবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না।

আহমদ মাসুদ কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তার বাহিনীর কাছে গোলাবারুদ এবং অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে যা তার বাবার সময় থেকে সংগ্রহ করেছেন।

এদিকে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ দাবি করেছিলেন, শিগগিরই পঞ্চশির এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারণ তালেবান যোদ্ধারা এলাকাটিকে ঘিরে ফেলেছে।

কাবুলের সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত তালেবান নেতা তথা হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা খলিল হাক্কানি বলেন, আহমদ মাসুদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আফগানিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ত্র সংবরণে সায় দিয়েছেন।

মাসুদ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে তিনি আলোচনায় রাজি আছেন। কারণ তিনি রক্তপাত এড়াতে চান। এছাড়া পঞ্চশির তালেবানকে প্রতিরোধ করতে পারবে না বলে স্বীকার করেছে মাসুদের এক উপদেষ্টা।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তালেবানদের বিশাল বাহিনী আছে। বর্তমান অবস্থা ১৯৮০ এর দশকের মতো নয়। তালেবানের হাতে যুদ্ধে পারদর্শী সৈন্যবাহিনী রয়েছে।

ইউকে/এএস