সিআইডি পুলিশের এএসপিসহ গ্রেপ্তার ৩: পুলিশের মামলা ডিবিতে

দিনাজপুর সংবাদদাতা: দিনাজপুরে মা-ছেলে অপহরণের ঘটনায় রংপুর সিআইডি’র এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, চালক হাবিবুর রহমান ও সোর্স ফসিউল পলাশের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তভার দিনাজপুর গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার চিরিরবন্দর থানায় মামলা হওয়ার পর রাতেই এর তদন্তভার ডিবিতে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনের যেকোনো সময় মামলা হস্তান্তর করা হবে। দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার্স ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার দিনাজপুর সদর উপজেলার দশ মাইল মোড় থেকে অপহরণ হওয়া মা জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমসহ রংপুর সিআইডি’র এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, চালক হাবিবুর রহমান ও সোর্স ফসিউল পলাশকে গ্রেপ্তার করে দিনাজপুর পুলিশ।

প্রসঙ্গত, সোর্স ফসিউল পলাশ চলতি মাসের প্রথম দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার ৫ নম্বর আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেরাই সোলেমান শাহ পাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম চিরিরবন্দর উপজেলার লুৎফর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে তুলে নিয়ে যায় দলটি। অনেক নাটকীয়তার পর মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তিপণের টাকা আনতে গিয়ে তারা জনতার হাতে আটক হন।

পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় লুৎফর রহমানের বড়ভাই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় অপহরণ ও মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে তাদেরকে কোর্টে নেয়া হলে বিচারক তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আজ মামলা হাতে পেলে আদালতে ডিবি পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।

ইউকে/এএস