বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: আরেক ধাপ বাড়ানো হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। এই ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রামণের হার ৭-৮ শতাংশে নামলে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে আগের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন করে ক্লাস নেওয়া হবে। আর প্রথম ধাপে অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের নেওয়া হবে একদিন করে ক্লাস। একটি ক্লাসের শিক্ষার্থী তিনটি কক্ষে বসানো হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তাদের সপ্তাহে দুইদিন করে ক্লাস নেওয়া হবে।
এদিকে একই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে। তার মধ্যে কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আর কতজন এক ডোজ নিয়েছেন, আবাসিক হলের কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছেন এ সংক্রান্ত তথ্য ইউজিসিতে পাঠাতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। স্কুল-কলেজ ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের চাপ রয়েছে, খুললেও করোনা আক্রান্তের আশংকা রয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। সে জন্য আগামী সপ্তাহের শুরুতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী সপ্তাহের বুধবার আবারও উভয় মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করে পরদিন গণমাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ইউকে/এএস