বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র, সংবিধান লংঘন করে সনাতনী হিন্দু আইন সংস্কারের উদ্যোগ, হিন্দু সম্প্রদায়কে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি, আন্তজার্তিকভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপচেষ্টা করার অভিযোগে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত শাহীন আনামসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সনাতনী ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৭ আগষ্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে কতিপয় এনজিও এবং স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা সনাতনী পরিবারিক আইন পরিবর্তনের অপচেষ্টার প্রতিবাদে পারিবারিক আইনে পরিবর্তন নিষ্প্রয়োজন বিষয়ক গোলটেবিল শীর্ষক আলোচনায় তারা এ দাবি জানান। গোল টেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
হিন্দু ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্রী শংকর চন্দ্র দাস বলেন, মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম, অ্যাঞ্জেলা গোমেজ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আমাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চায়। অথচ আমাদের আরও কত সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে তারা কথা বলে না। আমাদের উপর এত দরদ থাকলে কখনোতো শত্রু সম্পত্তি আইন নিয়ে কথা বলেননি। অথচ একটা মিমাংসিত বিষয় আমাদের হাজার বছরের সনাতনি আইন সংস্কার করতে চান। এটাতো মীমাংসিত। এই আইনের কারণেতো আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাহলে হিন্দু আইন কেন আপনাদের মাথা ব্যথার কারণ হলো।
তিনি বলেন, আপনারাতো হিন্দু ধর্মের কেউ নন। হিন্দু ধর্ম বুঝেনও না। আসলে মাহফুজ আনাম আপনারা এদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। আপনারা আবার ১/১১ মত চক্রান্তে মেতে উঠেছেন। আপনাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এদেশের দেড় কোটি হিন্দু জেগে উঠেছে। মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি দ্রুত বার বার চক্রান্তকারী মাহফুজ আনাম, তার স্ত্রী শাহীন আনাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত সকলেক দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিব আমরা।
অ্যাডভোকেট ডিএল রায় চৌধুরী বলেন, মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম ও মতিউর রহমানরা এক সময় কমিউনিস্ট পার্টির সাথে জড়িত ছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের আইন সংস্কারের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এখন তারা রংবাজি করছে। তাদের মায়া কান্না দেখে বলতে ইচ্ছে করে ভাত দেওয়ার নাম নেই, কিল দেওয়ার ঘোসাই। এ কথা বললাম কারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো কত সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে কখনোই কথা বলে না। অথচ তারা আসছে আমাদের আইন সংস্কার করতে।
তিনি বলেন, মাহফুজ আনামরা আমাদেরকে উস্কিয়ে দিল। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিব। তা না হলে দুদিন পর বলবে হিন্দুদের লাশ শ্বশ্বানে না নিয়ে গোরস্থানে নিলে ভাল হয়। না পুড়িয়ে মাটি চাপা দিলে ভাল। এসব চক্রান্তকারীদের বিদেশ থেকে নাম বিক্রি করে টাকা আনার পথ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তারা বলে বিদ্যমান আইনে হিন্দু মেয়েরা সম্পদ পায় না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আবার বলে হিন্দু নারীরা তালাক চায়, বাস্তবতা হলো কোনো হিন্দু নারী তালাক চায় না। সিঁদুরহীন, শাখাহীন অহিন্দুরাই তালাক চায়। মাহফুজ আনামরা দেখে দেখে তাদেরকেই দলে ভিড়িয়েছে।
ইউকে/এএস