নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে এই প্রথম কোনো শিশু করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই শিশুর বয়স দুই বছর নয় মাস। শিশুটি বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসকদের গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
হাসপাতালের আইসিইউ’র ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল করোনা সংক্রমিত এই শিশুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) ওই শিশুকে সাধারণ ওয়ার্ড থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। শিশুটির নাম জাকারিয়া জান্নাত। সে নওগাঁ সদর উপজেলার পার নওগাঁ গ্রামের আরিফ হোসেনের মেয়ে। সাধারণ ওয়ার্ডে থাকার সময় তার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তার শরীরে ভীষণ জ্বরও রয়েছে। সে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ’র ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, শিশুরাও এখন ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছে। তাই রামেক হাসপাতালে এই প্রথম পৌনে দুই বছরের শিশুকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে। শিশু জাকারিয়া জান্নাতের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। এজন্য তাকে ২৪ ঘণ্টাই নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। শিশুটির হাইফ্লো অক্সিজেন দরকার হচ্ছিল। ওয়ার্ডে রেখে এই পরিমাণ অক্সিজেন দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল আরও বলেন, যেহেতু শিশুরাও এখন ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে সেহেতু সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। বাড়িতে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলে শিশুদেরকে কোনোভাবেই তার সংস্পর্শ আসতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য অভিভাবকদের আরও সতর্ক ও শিশুর প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন- ডা. মোস্তফা কামাল।
এদিকে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চারজন ও উপসর্গে একজন মারা গেছেন। এছাড়া নেগেটিভ হওয়ার পরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ছয় জনের মধ্যে রাজশাহী জেলার একজন নাটোরের দুজন, নওগাঁর একজন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুজন রোগী ছিলেন।
ইউকে/এএস