বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দীর্ঘ পাঁচ মাস পরে বুধবার (০১ সপ্টেম্বর) সকাল থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন। তবে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে হবে বিভিন্ন নিয়ম মেনে।
দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হওয়া সুন্দরবনের ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রগুলোকে ভ্রমণ উপযোগী করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বনরক্ষীরা। সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুন্দরবন উন্মুক্তের খবরে খুশি হয়েছেন ট্যুর অপারেটররা। তারাও নিজেদের নৌযান ধুয়ে, মুছে, ত্রুটি সারিয়ে নিচ্ছেন সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য।
পর্যটন ব্যবসায়ী দ্যা সাউদার্ন ট্যুরস এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান বলেন, করোনার কারণে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসা বন্ধ ছিল। এই খাতে কাজ করা বিপুল সংখ্যক জনশক্তি বেকার অবস্থায় ছিল। মানবেতর জীবন যাপন করেছেন তারা। ১লা সেপ্টেম্বর সুন্দরবন খুলে দেওয়ার খবরে আমরা খুব খুশি হয়েছি। সরকার ও বন বিভাগের নির্ধারিত বিধি নিষেধ মেনেই ট্যুর অপারেট করার কথা জানান তিনি।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরিধানসহ নানাবিধি নিষেধ মানতে হবে দর্শনার্থীদের। এসব বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও থাকবে সতর্ক অবস্থায়।
তিনি আরও বলেন, ১লা সেপ্টেম্বর সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ উপলক্ষে বনের ইক্যোট্যুরিজম কেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ নানা কাজ করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে দিকেও সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বন বিভাগের। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৩ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
১লা সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য মানতে হবে নানা নিয়মকানুন। প্রবেশের সময় মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। প্রত্যেককে মাস্ক পরিধান করে প্রবেশ করতে হবে। নৌযান থেকে মাত্র ২৫ জন করে গ্রুপ-গ্রুপ ভাগ করে বনে প্রবেশ করতে হবে। যারা এ সব শর্ত ভঙ্গ করবেন অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বন বিভাগ।
ইউকে/এএস