বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এর মধ্যে দিয়ে শেষ হলো আফগানিস্তানে তাদের অভিযানের অধ্যায়।
৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টায় সব শেষ মার্কিন বিমান ছেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দর। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই আফগানিস্তান অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্য দিয়ে শেষ হল দেশটিতে আমেরিকার দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক অভিযান।
ইতিহাসই বলে দেবে এই অভিযানে আফগানিস্তানের কী পরিবর্তন এসেছিল। কারণ যেই তালেবানদের হটিয়ে নতুন এক সরকার এতো বছর দেশটির পরিচালনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র তার সেনাদের সরাতে শুরু করতেই আবার সেই বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তান দখল করে নেয়।
এদিকে মার্কিন সেনাদের নিয়ে শেষ প্লেন কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করার পরই ফাকা গুলি ছুড়ে উল্লাস করে তালেবান। গোটা দেশ এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।
শেষ বিমানটি কাবুল ছাড়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, এখনই তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে না ওয়াশিংটন। সবার আগে তালেবানকে বৈধতা অর্জন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি টুইটে দাবি করেন, গত ১৭ দিনে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এয়ারলিফ্ট সম্পন্ন করেছে। তুলনাহীন সাহস, পেশাদারিত্ব, সংকল্পের সঙ্গে তারা এই কাজ করেছে। এবার আফগানিস্তানে ২০ বছরের সেনা-অবস্থানের অবসান হলো।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ (জুনিয়র)।
২০২১ সালের মে মাসে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পহেলা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব মার্কিন সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। জুনে প্রায় ৯০ শতাংশ সেনা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যায়। ওই সময় থেকেই তালেবানরা আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে হামলা জোরদার করে। শেষ পর্যন্ত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে পতন ঘটলো কাবুলের।
২০ বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, বিপুল সংখ্যক প্রাণহানি ও পাহাড় সমান অর্থ খরচের করেও শূন্য হাতেই আফগানিস্তানের মাটি থেকে বিদায় নিল মার্কিন বাহিনী।
ইউকে/এএস