হতাশাগ্রস্ত হয়ে প্রতি রাতে কাঁদতাম: ভাবনা

বিনোদন বিভাগ: ছোট পর্দার অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা লকডাউনের সময়ে কোনো শুটিংয়ে অংশ নেননি। সমসাময়িক অনেকের চেয়ে তার কাজের সংখ্যাও কম।

তবে অভিনয়ের বাইরে লেখালেখি কিংবা ছবি আঁকাতেও সময় দেন এ অভিনেত্রী। তবে নানা ইস্যুতে মন্তব্য করে আলোচনায় থাকেন তিনি। অভিনয় জীবনে নানা প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হয়েছেন এই অভিনেত্রী। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাসে দিয়েছেন ভাবনা। যেখানে দুঃসহ দিনের বিরূপ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ভাবনা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমার অভিনয়, কাজ, পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে প্রতি রাতে কাঁদতাম। এই পৃথিবী আপনাকে পাথর ছুড়ে মারলে আপনি বুঝতে পারবেন ধরে রাখার কিছু নেই! একজন এতকিছু নিতে পারে! সবাই সবাইকে লাথি মারছে, ছোট করার চেষ্টা করছে, অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করছে। ’

‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’খ্যাত এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমি অভিনয় খুব ভালোবাসি, প্রতিদিন ভালো অভিনেত্রী হতে চাই। কিন্তু আমি খুব মনমরা ছিলাম এবং প্রথমবার উপলব্ধি করলাম আমার কোনো শক্তি নেই। ’

একটি ছবিতে নন্দিত নাট্যনির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন ভাবনা। তার কথা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘এরপর সৈয়দ জামিল আহমেদের অভিনয়বিষয়ক কর্মশালায় যুক্ত হলাম। আমার জীবনের গৌরবময় ৭টি দিন কাটিয়েছি। আমি নিজেকে নতুন করে ফিরে পেয়েছি, শক্তি পেয়েছি। এখন আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অভিনয় করতে চাই। আজ থেকে আমি আমার জীবন, কাজ নিয়ে আরও বেশি মনোযোগী হব। ’

সৈয়দ জামিল আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভাবনা লেখেন, ‘আমি কখনো কোনো অভিনয় স্কুল, অভিনয় কর্মশালা, কোনো থিয়েটার ক্লাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করিনি। আজ গর্বের সঙ্গে বলছি- জামিল আহমেদ আমার গুরু, আমার প্রথম অভিনয় শিক্ষক। হৃদয়ের অন্ত: স্থল থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’

বর্তমানে ভাবনা দুটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন। নাটক দুটির মধ্যে রয়েছে মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘হিট’, এটি বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে। অন্যটি অনিমেষ আইচের ‘এখানে কেউ থাকে না’, এটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচার হচ্ছে।

ভাবনা নাটকের বাইরে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০১৭ সালে অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এছাড়া নতুন সিনেমা ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন নুরুল আলম আতিক।

ইউকে/এএস