পাঞ্জশিরে ৬০০ তালেবান নিহত, আটক এক হাজার

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরে পাঞ্জশির উপত্যকা দখলের লড়াই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উপত্যকাটির দখল নিতে গিয়ে এক দিনে তালেবানের প্রায় ৬০০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে প্রদেশটির স্থানীয় সশস্ত্র সংগঠন ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ) দাবি করেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) এসব তালেবান সদস্য নিহত হয় বলে দাবি করেন এনআরএফ মুখপাত্র ফাহিম দাশতি। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিকের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে ফাহিম দাশতির একটি টুইটবার্তা তুলে ধরা হয়। ওই টুইটে ফাহিম বলেন, ‘(শনিবার) সকাল থেকে পাঞ্জশিরের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৬০০ তালেবানকে নির্মূল করা হয়েছে। এক হাজারের বেশি তালেবান ধরা পড়েছে বা আত্মসমর্পণ করেছে।’

বিদ্রোহীদের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আফগানিস্তানের অন্য প্রদেশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেতে বেগ পেতে হচ্ছে তালেবানকে।

গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হয়। কাবুল দখলের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি তালেবান। উপত্যকাটি এনআরএফ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অবশ্য গত শুক্রবার পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছিল তালেবান। কিন্তু শনিবারও পাঞ্জশিরে বিরোধীদের সঙ্গে তালেবানের লড়াই চলছিল।

এদিকে তালেবানের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আল–জাজিরা জানিয়েছে, পাঞ্জশিরের দখল নিতে লড়াই অব্যাহত আছে। কিন্তু এনআরএফের বিরুদ্ধে তালেবানের আক্রমণের গতি কমে গেছে। কারণ, এলাকাটির সড়কে ভূমি মাইন রয়েছে।

তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর এই পার্বত্য এলাকায় এনআরএফ গড়ে তোলা হয়। স্থানীয় নেতা আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়াদের সঙ্গে আফগান সামরিক বাহিনীর কমান্ডারদের একাংশ মিলে এই ফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে।

৩২ বছর বয়সী মাসুদ পাঞ্জশিরের প্রয়াত গেরিলা কমান্ডার আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে। কয়েক দশক আগে সাবেক সোভিয়েত বাহিনী ও পরে (১৯৯৬-২০০১) তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করে ‘পাঞ্জশিরের সিংহ’ বলে পরিচিতি পেয়েছিলেন আহমদ শাহ মাসুদ।

এবার তালেবান আবার ক্ষমতায় আসার পর দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা আলোচনা চলছিল। তবে তাতে সমাধান আসেনি। ফলে তালেবান যুদ্ধের পথ বেছে নেয়।

সূত্র: স্পুটনিক।

ইউকে/এএস