বিনোদন বিভাগ: বিশ্ববিখ্যাত সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর)। ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে ভারতের মধ্য প্রদেশের মাইহারের ‘মদিনা ভবনে’ তার জীবনাবসান ঘটে।
১৮৬২ সালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা সবদর হোসেন খাঁও ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ। ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ ও ওস্তাদ নায়েব আলী খাঁ তার ছোট ভাই।
সঙ্গীত পরিবারে জন্ম হলেও বাল্যকালে ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁর নিকট তার সঙ্গীতে হাতেখড়ি। এরপর ওস্তাদ কাশিম আলী খাঁর কাছে সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন তিনি।
গ্রামে বসবাস করার সময় জারি, সারি, বাউল, ভাটিয়ালী, প্রভৃতি গানের সঙ্গে যুক্ত হন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। ১৯১৮ সালে ভারতের মাইহারে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খাঁ সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
সেতার ও সানাই এবং রাগ সঙ্গীত গুরু হিসেবে সারাবিশ্বে তিনি প্রখ্যাত। মূলত সরোদই তার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বাহন হলেও সাক্সোফোন, বেহালা, ট্রাম্পেটসহ অনেক বাদ্যযন্ত্রে তার যোগ্যতা ছিল অপরিসীম।
১৯৩৫ সালে বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্করের সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণে বের হন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। এ সময় তিনি ইংল্যান্ডের রানী কর্তৃক সুরসম্রাট খেতাবপ্রাপ্ত হন।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁকে ১৯৫২ সালে ভারত সরকার ‘সংগীত আকাদেমি পুরস্কার’, ১৯৫৮ সালে ‘পদ্মভূষণ’, ১৯৭১ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’, ১৯৬১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ‘দেশিকোত্তম’ এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডক্টর অব ল’ উপাধিতে ভূষিত করে। এছাড়া ভারতের দিল্লি ও বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে আজীবন সদস্যপদ প্রদান করে।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর পুত্র সরোদশিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর খান বিশ্ববিখ্যাত। তার জামাতা সেতারশিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্করও বিশ্বখ্যাত হয়েছেন।
ইউকে/এএস