পরীমনিকে নিয়ে সংসদে যে আলোচনা হলো

বিনোদন বিভাগ: বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদকে উদ্দেশ করে সরকারি দলের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেছেন, ‘তিনি (হারুন) কী কারণে যেন পরীমনির বিষয়ে বড় বেশি আগ্রহী। আমি জানি না, তাঁর বাসায় কী অবস্থা। এর আগেও তিনি পরীমনির বিষয়ে সংসদে কথা বলেছিলেন। গতকালও (শুক্রবার) সুযোগ পেয়ে পরীমনির বিষয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন।’

গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন আবু সাঈদ। আগের দিন শুক্রবার জাতীয় সংসদে চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন এমপি হারুনুর রশীদ। হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ গতকাল সংসদের বৈঠকের শেষ পর্যায়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্যের সুযোগ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্যের ওই সব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান।

এ সময় হুইপ স্বপন বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) এই মহান জাতীয় সংসদে বিএনপিদলীয় সদস্য জনাব হারুনুর রশীদ অপ্রাসঙ্গিকভাবে কয়েকটি পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে ও পত্রিকাগুলোর খণ্ডিত অংশ পাঠ করে বেশ কিছু আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে সত্যের প্রচুর অপলাপ রয়েছে। তিনি কী কারণে যেন পরীমনির বিষয়ে বড় বেশি আগ্রহী। আমি জানি না তাঁর বাসায় কী অবস্থা। এর আগেও তিনি পরীমনির বিষয়ে সংসদে কথা বলেছিলেন।

গতকালও (শুক্রবার) তিনি সুযোগ পেয়ে পরীমনির বিষয়টি সংসদে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। তিনি কোরআনের আয়াত দিয়ে বলেছেন, তোমরা শয়তানকে অনুসরণ কোরো না। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদ, জুয়া, হাউজি, রেসকোর্স আইন করে বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর (হারুন) প্রয়াত নেতা জিয়াউর রহমান সাহেব বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে বাংলাদেশে মদ, জুয়া, হাউজি সব কিছু জায়েজ করে দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে আজ মদ, জুয়া, হাউজি বন্ধ করা খুব দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, ‘প্রিন্সেস লাকি কান্তের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। এই মহান সংসদে সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে প্রিন্সেস লাকি কান্তের যে উদ্দাম নৃত্য, যে উদ্দামতা, যে অশ্লীলতা, সেটি বাংলাদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার প্রধান এবং প্রধানতম কারণ। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে এসব অশালীন ও অনৈসলামিক কাজ শুরু করেছিলেন জনাব হারুনুর রশীদ সাহেবের প্রয়াত নেতা জিয়াউর রহমান সাহেব।

তিনি (জিয়া) শুধু জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে ক্ষান্ত হননি, তিনি বাংলাদেশের অর্জন স্বাধীনতা, স্বাধীনতার চেতনা সব কিছু ধ্বংস করার জন্য যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন, সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজকে এগুলো চলছে।’

সরকারদলীয় হুইপ আরো বলেন, ‘তিনি (হারুন) পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশপ্রধান থেকে শুরু করে অনেকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য উত্থাপন করেছেন। আমি আজকের এই সংসদে গতকাল (শুক্রবার) জনাব হারুনুর রশীদ প্রদত্ত বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

ইউকে/এএস