ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানসহ ৪ জন আটক

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসানসহ চারজনকে আটক করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান ও যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, বাকি দুজনের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

ওসি বলেন, বুধবার রাতে ধানমন্ডি লেক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।

এদিকে রাজিব আহসানকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবিলম্বে রাজিব আহসানসহ অন্যদের সুস্থ অবস্থায় জনসম্মুখে হাজির করার দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান।

বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসানকে বুধবার (০৮সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১১টায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীর রাইফেলস স্কয়ারের (সীমান্ত স্কয়ার) সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তাকে অবিলম্বে সুস্থ অবস্থায় জনসম্মুখে হাজির করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

রাতে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে গণতান্ত্রিক আচার আচরণ তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দম্ভে অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ শাসন করছে। জনগণকে উপেক্ষা করে দেশ শাসনের ফলে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ধারাবাহিকভাবে অপহরণ করে গুম করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আর তারই অংশ হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসানকে সাদা পোশাকধারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, গভীর উদ্বেগের বিষয় এই যে, তাকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে এবং এখনও পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান দেওয়া হচ্ছে না। সরকার জনগণকে ভয় পাইয়ে দিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চালু রাখতেই আইন শৃঙখলা বাহিনীকে দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা, অপহরণ ও গুমের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী সরকার ভুলে গেছে যে, যুগে যুগে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারদের ভাগ্যে কি পরিণতি ঘটেছে।

ইউকে/এএস