শিল্পী সমিতির নির্বাচন করবেন না শাকিব, ‘গুজব’ ছড়ানোয় ক্ষিপ্ত

বিনোদন বিভাগ: মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পর গুঞ্জনে জল ঢেলে দিলেন শাকিব খান। আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। আর এমন ইচ্ছে বা আগ্রহও তার ছিল না বলে জানালেন। কোত্থেকে এমন গুঞ্জন ছড়াল এ ব্যাপারেও তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।

শাকিব খান বললেন, নির্বাচন নিয়ে মোটেও ভাবি না। আর আমার এতো সময়ও নেই। সংগঠন দিয়ে কোনোভাবেই ইন্ডাস্ট্রি আগাবে না। সুতরাং এসবের মধ্যে আমি নেই।

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ও একাধিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, শিল্পী সমিতির ২০২২-২৩ মেয়াদের নির্বাচনে ‘সভাপতি’ পদে প্রার্থী হচ্ছেন শাকিব খান। তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। বৃহস্পতিবার সকালে শাকিব খান বলেন, আমাকে জড়িয়ে যেসব সংবাদ হয়েছে সেগুলো পুরোপুরি মনগড়া-আজগুবি। অনেকটা হাওয়া থেকে পাওয়া নিউজ।

কথা না বলে তাঁর বক্তব্য ব্যবহার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাকিব খান। শাকিব খান বলেন, “আমার সাথে কথা না বলে আমার ‘মন্তব্য’ তুলে দেয়া হয়। পরে অনেকেই আমাকে বলে, আমি এটা বলেছি, ওটা বলেছি। এসবে খুব বিব্রত হই। যে বা যারা আমাকে জড়িয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নিউজ করেছে কেউ আমার সাথে কথা বলেনি। যারা নিউজ করেছে অনেককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না; আবার চিনলেও গত ছয়মাসেও তাদের সাথে দেখা হয়নি, এসব নিয়ে আলাপ হয়নি।”

এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির টানা দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন শাকিব খান। কথা প্রসঙ্গে শাকিব খান জানান, তার সিনেমার ব্যস্ততা তূলনামূলক বেড়ে যাওয়ায় তৃতীয়বার স্বেচ্ছায় নির্বাচনে অংশ নেননি। আগামীতে ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা করতে তার পূর্ণ মনোযোগ কাজে থাকবে। তাই তিনি নির্বাচন করবেন না।

শাকিব খান বলেন, আরও আগে নিপুণ আমাকে বলেছিল রিয়াজ ভাইদের নিয়ে আমাকে রেখে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তখনই আমি না করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, নির্বাচন করলে পরপর দুবার নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয়বারও করতাম। সেচ্ছায় যেহেতু সরে এসেছি আর এসবে নিজেকে জড়াতে চাই না।

শাকিব খান মনে করেন, সমিতি নিয়ে মাতামাতি ও নির্বাচন করলে ইন্ডাস্ট্রি কোনোভাবেই আগাবে না। ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিতে হলে ভালো ভালো কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য চেষ্টা মূখ্য, সমিতি বা নির্বাচন নয়।

এর আগে মনোয়ার হোসেন ডিপজল তাঁর নির্বাচন করার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমি এমন কথ্যা কোথাও বলিনি বা ইঙ্গিত দেইনি। আমি কোনো নির্বাচনেই অংশ নিব না।

ইউকে/এএস