শ্রেণিকক্ষে পানি, খোলেনি ২১ স্কুল

মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা: সারা দেশের মত মানিকগঞ্জে সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিধারিত সময়ের আগেই আগ্রহ উদ্দীপনা নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর স্কুলেগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। তবে বন্যার কারণে জেলার তিন উপজেলা দৌলতপুর, ঘিওর ও হরিরামপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলেনি। ওইসব বিদ্যালয়ের মাঠে এবং শ্রেণিকক্ষে বন্যার পানি আছে এখনো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জে সাতটি উপজেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কলেজ মিলে মোট ৮৮৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। জেলায় আকস্মিক বন্যার কারণে অন্তত ১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে বন্যার পানি ওঠে। গত কয়েক দিন ধরে দ্রুত বন্যার পানি কমতে থাকায় এর মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের উপযোগী হয়ে উঠে। কিন্তু দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলায় নিম্নঞ্চলের ২১টি বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি নেমে না যাওযায় বর্তমানে পাঠদান সম্ভব না বলে আপাতত বন্ধ রয়েছে স্কুলগুলো। তবে সংশ্লিদের দাবি, আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে এ সকল বিদ্যালয় থেকে বন্যার পানি নেমে যাবে এবং পাঠদানের উপযোগী করে তোলা হবে।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী বলেন, জেলায় ৬৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বন্যার কারণে বিশেষ করে দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্ন অঞ্চলের ১৯টি বিদ্যালয়ে মাঠে ও শ্রেণীকক্ষে পানি রয়েছে। বাকি একটি বিদ্যালয় ঘিওর উপজেলায় পরেছে। এ কারণে দীর্ঘ দিন পর সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আজ রবিবার এসব বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সম্ভব হয়নি।

জেলা শিক্ষা কর্মকতা রেবেকা জাহান বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জেলায় মোট ২৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে শুধু মাত্র দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে। বাকি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সকল নিয়ম মেনে খোলা হয়েছে।

ইউকে/এএস