বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
কলেজটির দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের করা রিট আবেদনে গত ১০ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে ৩০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেন। কিন্তু কোনো রিপোর্ট দাখিল না করতে পারায় সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আদালত সময় দিয়ে শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২৭ জুলাই প্রকাশিত ‘আমি গুলি করা মানুষ পিস্তল বালিশের নিচে থাকত’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে ৮ আগস্ট এ রিট আবেদন করা হয়েছে। এর আগে ২৭ জুলাই একই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও শিক্ষা সচিব বরাবরে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা বোর্ড কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই রিট আবেদন করা হয়।
সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ওই ফোনালাপের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো… বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
ইউকে/এএস