বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন নিউজিল্যান্ডের জলসীমায় চলবে না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে একটি যৌথ ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা কর্মসূচি শুরু করছে। এর আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরিতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন তিন দেশের প্রধান। সেই সাবমেরিন নিজ দেশের জলসীমায় চলেবে না বলে জানালেন জেসিন্ডা।
জেসিন্ডা বলেন, নিউজিল্যান্ডের জলসীমায় পারমাণবিক শক্তিচালিত নৌযান চলাচলের ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা বহাল থাকবে। তাই অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হতে যাওয়া সাবমেরিনটি আমাদের জলসীমায় ঢুকতে পারবে না। অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির ঘোষণা দেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন জেসিন্ডা আরডার্ন।
জেসিন্ডা আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতায় তারা এ সাবমেরিন তৈরি করছে। গতকাল বুধবার এক যৌথ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্যোগের ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
এ প্রসঙ্গে মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে আগামী দেড় বছরের মধ্যে পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন বহর তৈরি করার একটি যৌথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে তিন দেশ। এর বাস্তবায়ন করা হলে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন থাকা সপ্তম দেশে পরিণত হবো আমরা।
অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক জ্বালানি পরিচালনায় আন্তর্জাতিক চুক্তির বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় পারমাণবিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করার জন্য আমাদের কী করতে হবে তার একটি গভীর পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে আমি স্পষ্ট বলতে চাই। অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন বা পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ হতে চাইছে না।’
রয়টার্স জানায়, ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে তিন নেতার কেউই চীনের কথা উল্লেখ করেননি। তবে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সম্প্রসারণবাদী কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া এবং তাইওয়ানের প্রতি তাদের যুদ্ধকেন্দ্রিক মনোভাব বৃদ্ধির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের বর্তমান কৌশলগত পরিবেশ ও এটি কীভাবে বিকশিত হতে পারে সে বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে। কারণ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থায়ীত্ব এবং সমৃদ্ধির ওপর।’
সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি।
ইউকে/এএস