নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনায় দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বন্ধে শিক্ষাসামগ্রীর চাহিদা কমে গিয়েছিল অনেকটা। তবে স্কুল-কলেজ খোলার পর থেকে বদলে গেছে দৃশ্যপট। বর্তমানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্টেশনারি, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রীর দোকানে ভিড় করছেন।
কিনছেন কাগজ-কলম, পেন্সিল, বই, জ্যামিতি বক্সসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী। তাই হাসি ফুটেছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের মুখে।
সরেজমিনে রাজশাহী মহানগরের আরডিএ মার্কেট, নিউ মাকের্ট, সোনাদীঘির মোড় ও সিটি সেন্টারে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি।
মহানগরের সমবায় সুপার মার্কেটের এডুকেশন শপের কর্মচারী জুয়েল রানা বলেন, করোনাকালীন সময়ে বেচা-কেনা কমে গিয়েছিল। তবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তের পর বিক্রি বেড়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কাগজ-কলম, বই, পেন্সিল, জ্যামিতি বক্সসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী কিনতে আসছেন। অনেক দিন পর ব্যবসা জমে উঠেছে বলে জানান তিনি।
মহানগরীর নিউ মার্কেটে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাসামগ্রী কিনতে এসেছেন অভিভাবক আবু বক্কর। তিনি জানান, তার মেয়ে মাওয়া জান্নাত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। অনেক দিন পর মেয়ের স্কুল খুলেছে, তাই নতুন কাগজ, এক ডজন কলম ও এক সেট রঙ পেন্সিল কিনেছেন।
পারভেজ আহমেদ নামে এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। নতুন খাতা ও টিফিন বক্স ছাড়া স্কুলে যেতে চাইছে না। তাই এসব সামগ্রী কিনতে এসেছি। দীর্ঘদিন পর বাচ্চারা স্কুলে যাবে এটি আমাদের জন্য স্বস্তির।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান রহমান বলে, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। এ সময় জ্যামিতি বক্স ব্যবহার করা হয়নি। ফলে কাঁটা কম্পাস নষ্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন জ্যামিতি বক্স ও কিছু কলম কিনতে এসেছি। এছাড়া অনেক দিন পরে স্কুল যেতে পারছি। খুবই আনন্দ লাগছে।
এদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শিক্ষাসামগ্রীর দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষাসামগ্রীর বাজার মনিটরিং করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ইউকে/এএস