ক্রীড়া বিভাগ: চলতি মাসে শেষ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের দ্বিতীয় মেয়াদ। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হবার ৪৫ কার্য দিবসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের ২০২১ সালের নির্বাচন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চায় বিসিবি। ১৭ অক্টোবর শুরু হবে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যে কারণে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করতে চায় বোর্ড।
বোর্ডের পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আজ বলেন, ‘আশা করছি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু অনেকেই বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে যাবে, তাই এর আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
গত বোর্ড সভায়, বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন ২০২১ পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের নেতৃত্বে আছেন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর সাবেক সভাপতি এম ফরহাদ হুসাইন, এফসিএ।
অন্য চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক যুগ্ম সচিব ওমর ফারুক, এনডিসি, বিসিবির আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুদ্দাসির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
আগামী সপ্তাহ থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করবে তারা। এরপর তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকাও চূড়ান্ত করা হবে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন খুব শীঘ্রই আলোচনায় বসবে, তারপর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা। কবে তফসিল ঘোষণা করা হবে, তা নির্বাচন কমিশনের সভায় ঠিক করা হবে। বোর্ড কাউন্সিলরদের তালিকা চূড়ান্ত করবে এবং তারপর নির্বাচন কমিশনকে দিবে।’
সরকারি মনোনয়ন পেয়ে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় আবারো বোর্ডের সভাপতি হন পাপন। তার নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ সেপ্টেম্বরে শেষ হচ্ছে।
গত ২৬ আগস্ট বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে বিসিবি সভাপতি বলেন, এবারের নির্বাচন চমকপ্রদ হবে। এরপর পহেলা ১ সেপ্টেম্বর শেষ বোর্ড সভা শেষেও একই কথা বলেছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এমন অনেক কিছু আসবে যা আগে কখনো ঘটেনি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নতুন অনেক কিছু আসার সম্ভাবনা বেশি। আমি আজ এটি বলছি না। নির্বাচন কমিশন কাজ শুরু করলে আপনারা এ সকল পরিবর্তন জানতে এবং দেখতে পাবেন।’
ইউকে/এএস