বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি অর্পিতা ঘোষ দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্ককাইয়া নাইডুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। সেদিনই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
নাট্যকর্মী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে পরিচিত অর্পিতা ঘোষ ২০১৪ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট আসন থেকে তৃণমূলের এমপি হন। পরে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেন। গত বছরের এপ্রিলে অর্পিতাকে রাজ্যসভার এমপি করা হয়।
পদত্যাগের কোনো কারণ তিনি উল্লেখ করেননি। মেয়াদ শেষের সাড়ে চার বছর আগে পদত্যাগ করলেন অর্পিতা ঘোষ। তিনি বলেছেন, রাজ্যসভায় ভালো লাগছিল না। এটাই একমাত্র কারণ। আমি খুব মন দিয়ে সংগঠন করতে চাই, আর থিয়েটারটা করতে চাই। আমার থিয়েটারের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছিল। রাজ্যস্তরে যদি কলকাতায় থেকে সংগঠনের কাজ করতে পারি, তা হলে আমার থিয়েটার করতেও সুবিধা হয়। যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, অন্য রাজ্যের লোককে সুযোগ দেওয়ার জন্য অর্পিতা ঘোষকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
এদিকে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি এই তালিকায় জায়গা করে নিলেও মানুষ জানে তিনি কি করেছেন। তিনি ১০ বছর ধরে প্রশাসন চালাচ্ছেন। তার সময়ে মানুষকে রাস্তায় নামতে হচ্ছে আন্দোলন করার জন্য। শিক্ষিকাদের বিষ খেতে হচ্ছে।’
সূত্র: আনন্দবাজার।
ইউকে/এএস