বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখন আলোচনায় কে হচ্ছেন পরবর্তী উপাচার্য। সমালোচিত উপাচার্য আব্দুস সোবহান প্রথম মেয়াদ ও দ্বিতীয় মেয়াদে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে নিজেকে বিতর্কিত করেছেন। সবশেষে মেয়াদের শেষের দিন বিতর্কিত নিয়োগে আব্দুস সোবহান হয়েছেন টক অব দ্যা কান্ট্রি।
তাই এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ রাজশাহীবাসীর প্রত্যাশা দাঁড়িয়েছে স্বচ্ছ ও নীতিবান কেউ আসুক উপাচার্যের দায়িত্বে।
সূত্র বলছে, সর্বশেষ উপাচার্য পদে তিনজনের নাম আছে আলোচনায়। এর মধ্যে আছেন রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক লাইব্রেরি প্রশাসক ড. শফিকুন্নবী সামাদী। তবে এর আগে আলোচনায় আরও অনেকের নাম শোনা গেলেও এই তিনজনের নাম ক্যাম্পাস জুড়ে আলোচনায়।
আলোচনায় থাকা শীর্ষে নাম হিসেবে প্রথমেই সাবেক উপ উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহানের কথা জানা গেছে। তিনি এর আগে ২০১৩-২০১৭ সাল পর্যন্ত উপ উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এছাড়াও তার বড় সফলতা বলে মনে করা হয়, নিয়োগে স্বচ্ছতা। যেহেতু বর্তমানে নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে রাবি সমালোচনার শীর্ষে আছে, তাই চৌধুরী মো. সারওয়ার জাহানকেই এই মুহুর্তে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে, হঠাৎ ই নতুন যে নাম উপাচার্য পদে উঠে এসেছে, তিনি হলেন ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ’র নাম। উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে তিনি। পাবনার নওদা গ্রামে ডঃ শহীদুল্লাহ’র বাড়ি। জামায়াত নেতা আব্দুস সোবহানের পরিবারের সঙ্গে ড. শহীদুল্লাহর সখ্যতার কারণ তাকে বিবেচনা শেষ পর্যন্ত সরকার করবে কি না-এনিয়ে চলছে আলোচনা।
এছাড়াও রাবির আগামী উপাচার্য পদের জন্য বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদীর নামও আছে আলোচনায়।
এই সময়ে কেমন ভিসি দরকার জানতে চাইলে রাবির সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার তিনটি মানদণ্ডকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। পাণ্ডিত্য, নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্ব। সব প্রফেসরই পণ্ডিত, আর নেতৃত্ব বলতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন, সিন্ডকেট, শিক্ষক সমিতি, দলীয় স্টিয়ারিংয়ে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষক, আর ব্যক্তিত্ব হচ্ছে ব্যক্তির সামগ্রিক বৈশিষ্ট্য, যা তার সততার মাধ্যমে পরিস্ফুটিত হবে। এককথায় এসব গুণ যার মধ্যে বিদ্যমান, তিনি এ পদের জন্য যোগ্য হবেন।
ইউকে/এমইউ/এসএম