বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: রাশিয়ার তিন দিনের পার্লামেন্ট নির্বাচন শুরু হয়েছে। ক্রেমলিনের সমালোচকদের কয়েক বছর ধরে দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার এ নির্বাচন শুরু হলো। এবারও দেশটির ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়ার জয়ের আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ার ১১টি টাইম জোনের বিস্তৃত অঞ্চলে পার্লামেন্ট ও স্থানীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। মস্কোর বাসিন্দারা যখন ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন পূর্বাঞ্চলের চুকুতখা ও কামচাটকা এলাকার লোকের ছুটছেন ভোটকেন্দ্রে। এবারের নির্বাচনে ১৪টি দল অংশ নিচ্ছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান ইলা পামফিলোভা ভোটারদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চলুন ভোট দিতে যাই।
বিরোধীদের দমন-পীড়নের কঠোর সমালোচনা থাকলেও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থক দল ইউনাইটেড রাশিয়ার পার্লামেন্টে প্রভাব কমে যাওয়ার কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না এবারের নির্বাচনে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক ভিডিও বার্তায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ানদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
৪৫০ আসনের পার্লামেন্ট দুমায় এখন ইউনাইটেড রাশিয়ার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিদ্যমান। ফলে এর আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন সংবিধান সংশোধনের বড় সুযোগ পান তাদের সমর্থন পেয়ে। সংবিধানে সংশোধনী আনার ফলে পুতিনের ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর বাধা দূর হয় এবং ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ পরিষ্কার হয়।
১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার ক্ষমতার আসনে ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা, তা এখনো প্রকাশ করেননি। তবে এবার করোনা মহামারি ও মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা এবং বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি ও তার সমর্থকদের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে মস্কোতে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার মানুষ।
সূত্র: আলজাজিরা।
ইউকে/এএস