নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে হাতুড়ে ডেন্টিস্টের ভুল ওষুধে শরীর পুড়ল শিশু রাফির। সারা শরীরে আগুনে পোড়ার মতো দগদগে ক্ষত ও ফোসকার সৃষ্টি হয়েছে।
এমন অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে সাত বছরের শিশু আবদুর রাফিকে।
হাতুড়ে চিকিৎসকের নাম মফিজুল হক। তিনি কাটাখালী পৌরসভার বাজারে চেম্বার খুলেছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ আছে। চেম্বারের সামনের সাইনবোর্ডে লেখা চিকিৎসক। অথচ তিনি কথিত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুর দাঁত ব্যথা কমাতে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ভুল ওধুষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শিশুর শরীরে এ অবস্থা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে। নয়তো শিশুটির শরীরের আরও ক্ষতি হতে পারে। আক্রান্ত হতে পারে কণ্ঠনালী ও চোখও।
শিশুর বাবা বলেন, ছেলের দাঁত তোলার পর ব্যথা শুরু হয়। এ সময় কাছের ডাক্তার হিসেবে কাটাখালী বাজারের ডেন্টিস্ট মফিজুল হকের কাছে নেওয়া হয়। তিনি দুটি ওষুধ লিখে দিলে সেগুলো খাওয়ানোর ১২ দিন পর গোটা শরীরে ক্ষত দেখা দেয়। ঠোঁটে পোড়ার মতো ক্ষত হয়। পরে অবস্থা খারাপ হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো জানি না সে একজন ভুয়া ডাক্তার। জানলে তার কাছে চিকিৎসা করাতাম না। আমার ফুটফুটে ভালো ছেলের এমন অবস্থা করায় সেই ডাক্তেরের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। যেন আর কারো সন্তানের এমন পরিস্থিতি না হয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী ডেপুটি সিভিল সার্জন রাজিউল হক বলেন, মফিজুল নামের এই চিকিৎসকের কোনো নিবন্ধন নেই। তাকে চেম্বার করতে দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলেই চিকিৎসক পরিচয়দানকারী প্রতারকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউকে/এএস