রাবি সংবাদদাতা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খোলাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এরপর তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে তারা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবাসিক হল খোলা, ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেন কোনো ধরনের অর্থ গ্রহণ না করতে পারে মেস মালিকরা, ভর্তি পরীক্ষার সময় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনদের জন্য হেল্প ডেক্স দেওয়া অনুমতি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি বিভাগের ফাইনাল বর্ষের পরীক্ষার চূড়ান্ত রুটিন প্রকাশ হয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী রাজশাহী চলে এসেছেন এবং বিভিন্ন মেসে গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন।
এতে ছেলে-মেয়েরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পরীক্ষার রুটিন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আবাসিক হল খুলে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এছাড়া আগামী মাসে ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। সে সময় অনেক শিক্ষার্থী আসবেন। তারা যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়। এজন্য দ্রুতই আবাসিক হল খোলার দাবি জানাই।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা আগেও অনেকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হল খোলার দাবি জানিয়েছি। তবে প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমানে আমাদের আবাসিক হল খোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে গেছে। আর এতে করে মেসের সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা দেখছি যে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে হল ও ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে উপাচার্য গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা রয়েছে। সভায় হল ও ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ছাড়া হল ও ক্যাম্পাস খোলার সুযোগ নেই।
কর্মসূচিতে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউকে/এএস