যে কারণে জেমির ওপর খেপেছেন সালাউদ্দিন

ক্রীড়া বিভাগ: জাতীয় দলের কোচ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত হননি জেমি ডে। তার আরও এক বছর চুক্তি বাকি আছে। তিনি পদত্যাগও করেননি। এমতাবস্থায় অস্কার ব্রুজোনকে জাতীয় দলের অন্তবর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এভাবে একজন কোচকে চাকরিতে রেখে আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়ার ইতিহাস আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের ফুটবলই মনে হয় এই অবাক করা ঘটনার জন্মদাতা।

এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, জেমির ‘ওএসডি’ হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। গত কয়েকমাসে জেমির কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি খুব বিরক্ত ছিলেন। গতকাল নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে সেই ক্ষোভ গোপন করেননি সালাউদ্দিন। নেপালে ও কিরগিজস্থানে সর্বশেষ দুটি তিন জাতি সিরিজে জাতীয় দলের ব্যর্থতায় জেমি ডে’র ওপর তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু আসল কারণটা একটু অন্যরকম। সেটা হলো প্রবাসী খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া!

ডেনমার্ক থেকে জামাল ভূঁইয়া এসে তারকাখ্যাতি পাওয়ার পর বাংলাদেশ দলে প্রবাসী ফুটবলারদের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই ধারাবাহিকতায় আসেন তারিক কাজী। সর্বশেষ কিরগিজস্তান সফর দলে ছিলেন দুই প্রবাসী ফুটবলার তাহমিদ ইসলাম ও রাহবার ওয়াহেদ খান। এতে অবশ্য খুব যে কাজ হয়েছে তা নয়। এশিয়ান অঞ্চলে ৩৫ নম্বরে থেকে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করেছে বাংলাদেশ। আর কাজী সালাউদ্দিন যে বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেটা তিনি এখন আর বলেন না।

সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি তাকে সময় দিয়েছি। কিন্তু সে পারেনি। প্রতি ম্যাচে সে খেলোয়াড় বদল করে। কোনো স্থিরতা নেই। আজ একে খেলাচ্ছে, কাল ওকে। সর্বশেষ বিদেশি দুটি ছেলেকে কেন আনল দলে? ওদের খেলা দেখেছে? না দেখেই কেন আনা? এটা তো মগের মুল্লুক নয় যে কোচ যা ইচ্ছা তাই করবে। কোচের কোনো জবাবদিহি নেই।’ বাফুফে সভাপতির কথায় স্পষ্ট, তিনি জেমি ডে’র জাতীয় দল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষায় চরম অসন্তুষ্ট। কারণ, এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো ফল আসছিল না।

ইউকে/এএস