বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান অ্যাম্বাসেডর অচিম ট্রস্টার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমে এবং বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নে জার্মানির সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে জার্মানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে জার্মান রাষ্টদূত বলেন, পারস্পরিক আলাপ আলোচনা ও চাহিদার ভিত্তিতে এ সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের মাধ্যমে জার্মান তার সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।
আজ সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এর সাথে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান অ্যাম্বাসেডর অচিম ট্রস্টার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং জলবায়ু পরিবর্তন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন জার্মান অ্যাম্বাসেডরকে জানান, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারিবিলিটি ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভালনারেবল-২০ এর সভাপতি হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। সিভিএফ এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামগ্রিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ ঘোষণা করেছেন।
পরিবেশমন্ত্রী এসময় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান, আর্টিকেল-৬ (মার্কেট মেকানিজম)-সহ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যান্য বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ঐক্যমতে পৌঁছাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বাংলাদেশের ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ স্ট্র্যাটেজি এন্ড একশন প্ল্যান’ হালনাগাদকরণ এবং বন ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার জন্য বিএমজেড এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেডকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী এসময় প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং শহর এলাকায় অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহ জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন।
ইউকে/এএস