সারা দেশে করোনাভাটাকার মান এখন পাকিস্তানি রুপির প্রায় দ্বিগুণ!

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: এই বাংলাদেশ এখন আর সেই বাংলাদেশ নেই। স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ এখন অতি দ্রুত বিকাশমান একটি দেশ হিসেবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বেড়েছে টাকার মানও। আর তার বিপরীতে দর হারিয়েছে পাকিস্তানের রুপি। গত দশ বছরে টাকার মান পাকিস্তানি রুপির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) কারেন্সি এক্সচেঞ্জের এক সাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বাংলাদেশের ১০০ টাকার জন্য এখন ১৯৮ দশমিক ৫২ পাকিস্তানি রুপি খরচ হচ্ছে। অথচ স্বাধীনতার পরপর চিত্রটা ছিল উল্টো। তখন পাকিস্তানের ১০০ রুপির মান ছিল বাংলাদেশের ১৬৫ টাকা।

এক্স ই নামের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমানে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭ আর পাকিস্তানের ৪ দশমিক ১ শতাংশ। বর্তমানে ১ ডলার কিনতে পাকিস্তানের স্থানীয় মুদ্রা ১৬৯ রুপি লাগছে। সেখানে ১ ডলার কিনতে বাংলাদেশে লাগছে মাত্র ৮৫ থেকে সাড়ে ৮৫ টাকার মতো। ২০১১ সালের নভেম্বরেও পাকিস্তানি ৮৬-৮৭ রুপিতে মিলতো ১ মার্কিন ডলার। আর ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৯৮ থেকে ১০৭ রুপিতে পাওয়া যেতো এক ডলার।ইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২৬ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৬২ জন। শনাক্তের হার ৪.৬৯।

আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার ২৬, রবিবার ৪৩ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর ৩৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ৫১, ১৫ সেপ্টেম্বর ৫১, ১৪ সেপ্টেম্বর ৩৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ৪১, ১২ সেপ্টেম্বর ৫১, ১১ সেপ্টেম্বর ৪৮ জনের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬০৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪ হাজার ৭০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৩৭৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩৩ হাজার ৩২৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৪টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

এতে আরো বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় যে ২৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন এবং নারী ১০ জন। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে ৩, রাজশাহীতে ৩, খুলনায় ২, সিলেটে ২ ও ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। তবে বরিশাল ও রংপুরে কোনো মৃত্যু হয়নি।

ইউকে/এএস