বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: রাজধানীর প্রত্যেকটি খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম৷ পাশাপাশি খালের দুই পাড়ে বাঁধ দিয়ে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা জানান।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন আ. লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা খালগুলো শিগগিরই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জোন ভিত্তিক ইউটিলিটির দাম নির্ধারণ করতে হবে। কেননা গুলশানে থাকা ব্যক্তি এবং যাত্রাবাড়ী থাকা ব্যক্তির জীবন যাপনের মান এক রকম নয়। সে হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম নির্ধারণ করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ঢাকাকে কাল পরিক্রমায় অনেক শাসক শাসন করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের দায়িত্ব নেন। দেশকে উন্নত করতে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্বভার গ্রহণের পর দেশকে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে জলাবদ্ধতা ঢাকা শহরের অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার।
ইউকে/এএস