বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: নিউ মেক্সিকোতে আদি মানুষের পায়ের ছাপের জীবাশ্ম পেয়েছিলেন গবেষকরা। হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কের একটি শুকনো লেকের তলদেশে এই পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। ২০০৯ সালে এক পার্ক ম্যানেজার প্রথম এটি দেখতে পান। নতুন গবেষণা বলছে, প্রায় ২৩ হাজার বছর আগের এই পায়ের ছাপ। উত্তর আমেরিকায় মানুষের উপস্থিতির নিদর্শন।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই পদচিহ্নের জীবাশ্মের বয়স যাচাই করেন। আনুমানিক ২২ হাজার ৮০০ থেকে ২১ হাজার ১৩০ বছর আগের এই জীবাশ্ম।
গবেষকরা ধারণা করছেন, এসব পায়ের ছাপ শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের। সর্বশেষ তুষার যুগে এরা বাস করত। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রখ্যাত ‘সায়েন্স’ জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
বেশিরভাগ বিজ্ঞানীর ধারণা, এশিয়াকে আলাস্কার সঙ্গে যুক্ত করেছিল স্থলভূমির এক বিস্তীর্ণ অংশ। এর মাধ্যমেই প্রাচীন অভিবাসন হয়েছিল। পরে এই স্থলভূমি সমুদ্রের নিচে হারিয়ে যায়। অন্যদিকে পাথরের তৈরি সরঞ্জাম, জীবাশ্মের হাড় এবং জেনেটিক বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রায় ১৩ থেকে ২৬ হাজার বছর আগে উত্তর আমেরিকায় মানুষের আগমন হয়েছিল।
তবে উত্তর আমেরিকায় ঠিক কোন সময় মানুষের উপস্থিতি ছিল, তার প্রমাণ দেয় সর্বশেষ এই গবেষণা। গবেষকরা বলছেন, সাংস্কৃতিক নিদর্শন, উদ্ধার করা হাড় বা অন্যান্য প্রচলিত জীবাশ্মের তুলনায় পদচিহ্নগুলো আরও অনস্বীকার্য এবং প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেয়। এটি সময় ও অবস্থানের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ।
এর আগে হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কে খনন করে ডায়ারউলফ, বিড়ালজাতীয় পশুসহ অন্যান্য বরফযুগের প্রাণীদের জীবাশ্ম মিলেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
ইউকে/এএস