গোদাগাড়ীর সেই খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সেই খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উন্মোচনে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।যৌথ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) চৌকস পুলিশ দল। গ্রেফতারকৃতরা বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার ভোলার পালশা গ্রামের লতিফ (৪০), নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৫০), চকদেব ডাক্তারপাড়া গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম ওরফে জনি (২৫) ও নাপিতপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে শাহীন (৩৪)। এদের মধ্যে রেজাউল, আব্দুল করিম ওরফে জনি ও শাহীন আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ৩০ আগস্ট গোদাগাড়ী উপজেলার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদীঘি গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটেছিল। পুকুরে পাশে থাকা মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে মাছ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোদাগাড়ী থানায় ডাকাতি ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ ২৪ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত চারজন আসামির মধ্যে আদালতে গিয়ে তিনজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তি আসামিরা জানিয়েছেন তারা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করাই তাদের পেশা। মিনিট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে থাকে। ঘটনার রাতে তারা আটজন একটা মিনিট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে যান মাছ চুরি করতে। অপ্রত্যাশিতভাবে মাসুদ রানা ও লিটন নামের দুইজন পাহারাদার তাদের বাধা দেন। এ সময় তাদের দুই জনকে খুব শক্ত করে বেঁধে ফেলা হয়। এতেই মাসুদ রানা মারা যান। কিন্তু মাছ ধরা শেষ হওয়ার আগেই লোকজন চলে এলে তারা পালিয়ে যান। ওই দিন এই কাজে তারা মোট আটজন ছিলেন। পুলিশের হাতে চারজন ধরা পড়লেও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

ইউকে/এএস