আরএমপির এটিএসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্য সাসপেন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) শিরোইল বাস টার্মিনাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ শহর সহকারী উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) নাসির উদ্দিনসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) করা হয়েছে। এক ব্যক্তিকে মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক সাময়িক বরখাস্তের এ আদেশ জারি করেন।

সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- আরএমপির সহকারী শহর উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) নাসির উদ্দীন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম শাহাজাদা, কনস্টেবল মো. শাহ আলম, সারোয়ার আলম, রিপন আলী ও শংকর চন্দ্র। এর মধ্যে নাসির উদ্দিন পুলিশ বক্সের ইনচার্জ ছিলেন।

জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। তবে কেউ অপরাধ করলে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশ বাহিনী বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় আরএমপি কমিশনার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে।

এদিকে আরএমপি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা খোরশেদ গাজী ও তার ভাগ্নি জামাই শাহীন আদালতে হাজিরা দিতে রাজশাহী যান। হাজিরা শেষে বাড়ি যাওয়ার জন্য তারা রাজশাহী মহানগরের শিরোইলে থাকা ঢাকা বাস টার্মিনালে যান। এর পর পরই এএসআই সেলিম শাহাজাদা ও অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের ধরে পাশেই থাকা পুলিশ বক্সে নিয়ে যেতে চান।

এ সময় শার্টের কলার থেকে হাত ছাড়িয়ে খোরশেদ গাজী কোনোভাবে পালিয়ে যান। তবে শাহীনকে পুলিশ ধরে পুলিশ বক্সে নিয়ে যান তারা। সেখানে নেওয়ার পর তার শরীর তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে নগদ এক হাজার টাকা ও সিগারেট পায় পুলিশ। তারা ওই টাকা নিয়ে নেন।

এরপর তার কাছ থেকে আরও টাকা দাবি করা হয়। আর টাকা না দিলে তার কাছে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে- এমন মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। পরে শাহীন তার এক আত্মীয়কে ঘটনাটি জানালে তিনি বিকাশের মাধ্যমে চার হাজার ৬০০ টাকা পাঠান। এরইমধ্যে এটিএসআই নাসির পুলিশ বক্সে যান।

এদিকে ঘটনার পর পুলিশি হয়রানির শিকার শাহীনের কাছে বাড়ি যাওয়ার জন্যও কোনো টাকা ছিল না। তাই তিনি এটিএসআই নাসিরের কাছে ভাড়ার টাকা চান। তখন নাসির তাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘এই টাকার ভাগ ওপরেও দিতে হয়’। এ সময় তাকে জেলে দেওয়ার ভয়ও দেখান। পরে শাহীন পুলিশ বক্স থেকে চলে যান। তবে ঘটনার পর ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আরএমপি কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তেই অভিযোগের সত্যতা মেলে। তাই ওই ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, সাড়ে চার হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে। এ

ইউকে/এএস